Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /home/metvbdco/public_html/common/config.php on line 148
০৪ জঙ্গিকে সিলেটের বড়শালা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

|| মাটি এন্টারটেইনমেন্ট

প্রকাশিত: ১৫:১২, ৯ মে ২০২৩

বিভাগের পাঠকপ্রিয়

০৪ জঙ্গিকে সিলেটের বড়শালা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

০৪ জঙ্গিকে সিলেটের বড়শালা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও দাওয়াতী শাখার প্রধান আবদুল্লাহ মায়মুন সিলেটের শায়েখসহ পাহাড়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ০৪ জঙ্গিকে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব ফোর্সেস ম্যান্ডেটের আলোকে প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ০৩ হাজার এবং হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তী সময়ে প্রায় ০২ হাজার জঙ্গিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। যখনই জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়েছে তখনই র‌্যাব ফোর্সের সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। জঙ্গিবাদ বিরোধী জনমত গড়তে এবং জনসম্পৃক্ততা অর্জনেও র‌্যাব ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। 

গত ২৩ আগস্ট ২০২২ তারিখে কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে ০৮ জন তরুণের নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। উক্ত নিখোঁজের ঘটনায় নিখোঁজ তরুণদের পরিবার কুমিল্লার কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গণমাধ্যমসমূহে বহুলভাবে আলোচিত নিখোঁজের এই ঘটনা দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাব ফোর্সেস নিখোঁজদের উদ্ধারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। নিখোঁজ তরুণদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে র‌্যাব “জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া” নামক একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় থাকার তথ্য পায় এবং র‌্যাব জানতে পারে যে, এই সংগঠনের সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’ এর সহায়তায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।

পরবর্তীতে অক্টোবর ২০২২ থেকে অদ্যাবধি দেশের বিভিন্ন স্থানে ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ সর্বমোট ৬৮ জন এবং পাহাড়ে অবস্থান, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমে জঙ্গিদের সহায়তার জন্য পাহাড়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’ এর ১৭ জন নেতা ও সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমান দেশি-বিদেশী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও উগ্রবাদী বই। এছাড়াও উদ্ধার করা হয় সংগঠন সস্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও কন্টেন্ট। বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, এই সংগঠনের আমীর আনিসুর রহমান @মাহমুদ, দাওয়াতী কার্যক্রমের প্রধান গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ মায়মুন, সংগঠনের উপদেষ্টা শামীম মাহফুজ, অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান রাকিব। ইতিপূর্বে র‌্যাব কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও সামরিক শাখার উপপ্রধান মানিক, অর্থ বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মুনতাছির, দাওয়াতী ও অন্যতম অর্থসরবরাহকারী হাবিবুল্লাহ, বোমা বিশেষজ্ঞ বাশার ও পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদার হোসেন @চম্পাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংগঠনের আমীর আনিসুর রহমান @মাহমুদ এর সাথে কেএনএফ এর প্রধান নাথাম বমের সুসম্পর্ক থাকায় কেএনএফ এর সাথে তাদের অর্থের বিনিময়ে চুক্তি হয় এবং কেএনএফ ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র জঙ্গিদের পাহাড়ে আশ্রয়, অস্ত্র ও রশদ সরবরাহ এবং সশস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করতো। পরবর্তীতে র‌্যাবের অব্যাহত অভিযানের পর আমীরের নির্দেশে জঙ্গিরা পাহাড় হতে পলায়ন করে সমতলের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে যায় এবং পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।

র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা জানতে পারে, এই নতুন জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম শুরা সদস্য ও দাওয়াতী শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মুন সংগঠনের কয়েকজন সদস্যসহ সিলেট এলাকায় অবস্থান করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র‌্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা বাজার এলাকা হতে দাওয়াতী শাখার প্রধান ১। আব্দুল্লাহ মায়মুন @ মুমিন (৩৪), পিতাঃ হাফিজ মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, দক্ষিণ সুরমা, সিলেটসহ ২। মোঃ আবু জাফর @জাফর@তাহান (৪০), পিতাঃ  মৃত. শেখ আব্দুস ছালাম মাষ্টার, চরভদ্রসন, ফরিদপুর, ৩। মোঃ আক্তার কাজী @ সাইদ@আইজল (৩৮), পিতাঃ  মৃত: মোস্তফা কাজী, মতলব উত্তর, চাঁদপুর ৪। সালাউদ্দিন রাজ্জাক মোল্লা (৩২), পিতাঃ মৃত আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, মুকসেদপুর, গোপালগঞ্জ’দেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় নগদ ২ লক্ষ টাকা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি।

গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ মায়মুন @মামুন সিলেটের স্থানীয় একটি মাদ্রাসা হতে দাখিল সম্পন্ন করে। অনলাইনে ফিলিস্তিন, মায়ানমার, ইরাকসহ বিভিন্ন স্থানে মুসলামাদের উপর নির্যাতনের ভিডিও দেখে সে উগ্রবাদে আকৃষ্ট হয়। ২০১৩ সালে সে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন। সে আনসার আল ইসলামের সিলেট বিভাগীয় মাসূল/প্রধান ছিল। আনসার আল ইসলামের শীর্ষ জঙ্গি নেতা চাকুরিচ্যুত মেজর জিয়ার সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, এমনকি জঙ্গি জিয়া তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। ২০১৯ সালে বগুড়ার একটি সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় সে গ্রেফতার হয় এবং ০১ বছরের অধিক কারাভোগ করে ২০২০ সালের শেষের দিকে জামিনে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে তার জামিন বাতিল হলে সে আত্মগোপনে চলে যায়। ২০২১ সালে শুরা সদস্য রণবীর ও মানিকের মাধ্যমে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’য় যোগ দেয় এবং পাহাড়ে গমন করে। আনসার আল ইসলামের সিলেট বিভাগীয় মাসূল হওয়ায় সে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও দাওয়াতী শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পায়। এছাড়াও সে সিলেট অঞ্চলে সংগঠনটির দাওয়াতী, প্রশিক্ষণসহ সংগঠনটির সার্বিক কার্যক্রম তত্ত¡াবধান করতো। সে সাংগঠনিক কাজে বিভিন্ন সময়ে সমতল ও পাহাড়ে আসা যাওয়া করতো। সিলেট বিভাগের যারা এই জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হয় তারা মায়মুনের মাধ্যমে আসে। শুরুর দিকে তার মাধ্যমে আনসার আল ইসলাম এই জঙ্গি সংগঠনকে ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়, মূলত সে আনসার আল ইসলামের সাথে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সেতু বন্ধন তৈরি করে। এছাড়াও তার পরিচিত প্রবাসে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও অন্যান্য সংগঠন এবং নিজ অর্থায়নে সে উক্ত জঙ্গি সংগঠনের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছে বলে জানা যায়। বিভিন্ন সময়ে সে বিদেশে অবস্থানরত তার আত্মীয়, বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে প্রতি ৩/৪ মাস পরপর ৩০/৩৫ লক্ষ টাকা নিয়ে আসতো বলে সূত্রে জানা যায়। পাহাড়ে অভিযান শুরু হলে সে সংগঠনের সিদ্ধান্তে সমতলে এসে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। সাম্প্রতিক সময় সে পরিচয় গোপন করে ভুল তথ্য দিয়ে সিলেটের এই বাড়িটিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করছিল। আত্মগোপনে থেকে সে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগ রেখে সাংগঠনিক বিভিন্ন কাজ করতে থাকে এবং আনসার আল ইসলামের সাথে সম্বনয় করে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আবু জাফর @জাফর @তাহান’কে ইতোপূর্বে প্রকাশিত ভিডিওতে গামছা মাথায় বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়। সে ইতোপূর্বে হুজিবি’র সদস্য ছিল। ২০০১ সালে সুন্দরবনে হুজির সশস্ত্র প্রশিক্ষণরত অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় এবং কারাভোগ করে। পরবর্তীতে সে জেএমবি’তে যোগ দেয়। জেএমবিতে থাকাকালীন ২০০৫ সালে সে পুনরায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় এবং কারাভোগ করে। সে ২০১৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে গমন করে এবং প্রবাসে থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তির মাধ্যমে উক্ত সংগঠনে যোগ দেয়। কিছুদিন বিদেশে থেকে দেশে ফিরে এসে শুরা সদস্য রাকিবের সাথে সাক্ষাৎ করে এবং মুন্সিগঞ্জে রাকিবের খামারে অবস্থান করে। পরবর্তীতে ১ম ব্যাচে ১২ জনের গ্রæপের দলনেতা হিসেবে সে পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণের জন্য তথাকথিত হিজরত করে। সে পাহাড়ে গমনের পর বিভিন্ন অস্ত্র চালনাসহ বিভিন্ন ধরণের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তার পরিবার জানত যে, সে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে অবস্থান করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে আত্মগোপন শেষে সমতলে আসে এবং সমতলের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনের পর সে সংগঠনের নির্দেশনায় সিলেটে মায়মুনের নিকট গমন করে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ইতোপূর্বে ০৩টির অধিক মামলা রয়েছে এবং ০৩ বার কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। 

গ্রেফতারকৃত মোঃ আক্তার কাজী @সাইদ@ আইজল’কে ইতোপূর্বে প্রদর্শিত ভিডিওতে অস্ত্র হাতে দেখা যায়। সে নারায়ণগঞ্জে কাপড়ের ব্যবসা করতো। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিনতাই ও ডাকাতির প্রায় ৮-১০ টি মামলায় সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে চাঁদপুর, সিলেট, নারায়নগঞ্জ ও ঢাকাতে গ্রেফতার হয় এবং বেশ কয়েকবার জেলে যায় বলে জানা যায়। ২০১৭ সালে সে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়। পরবর্তীতে, ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’য় যোগ দেয়; ইতোপূর্বে সে আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিল। ২০১৮ সালে সংগঠনের আমীর মাহমুদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে উক্ত সংগঠনে যোগদান করে। সে ২০২১ সালে তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে প্রথমে কুমিল্লার একটি মাদ্রাসায় কিছুদিন অবস্থান করে। পরবর্তীতে সে ২য় ব্যাচের সাথে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বান্দরবান ও কেটিসি হয়ে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গমন করে। পাহাড়ে গমনের পর বিভিন্ন অস্ত্র চালনা, বোমা তৈরিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে, পাহাড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ত্যাগ করে। এসময় সে পার্বত্য বিভিন্ন অঞ্চল ও সমতলের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন শেষে আমীরের নির্দেশে সিলেটে মায়মুনের নিকট গমন করে। তার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং উক্ত মামলায় একাধিকবার কারাবরণ করেছে। 

গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন রাজ্জাক মোল্লা ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ এর অন্যতম সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। সে ২০১৮ সালে তার পরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগঠনে যোগ দেয়। সে মিরপুরে বসবাস করায় বিভিন্ন সময়ে তার বাসায় সাংগঠনিক বিভিন্ন কাজে সংগঠনের আমীর মাহমুদ, শুরা সদস্য রাকিব এবং শামীম মাহফুজ আসত ও বৈঠক করত বলে জানা যায়। কারাগারে থাকা সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের বিভিন্ন বার্তা তার মাধ্যমে সমতলে ও পাহাড়ে অবস্থান করা নেতৃবৃন্দের সাথে আদান প্রদান হত বলে জানা যায়। জেলখানার ভিতরে থাকা নেতৃস্থানীয় সদস্যদের সাথে সমতলে থাকা সদস্যদের সমন্বয় করতো। সে ২০২২ সালে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে পাহাড়ে গমন করে। পাহাড়ে অভিযান শুরু হলে সে কৌশলে পলায়ন করে পাহাড়ি অঞ্চল ও সমতলের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে সে আমীরের নিদের্শে আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে সিলেটে মায়মুনের নিকট আসে ও সাংগঠনিক কার্যক্রম করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।