সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ২৪ ঘণ্টায় রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানার আশঙ্কা কম জানিয়ে তিনি বলেন, ৫ থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে। এর সম্ভাব্য গতিপথ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের দিকে।
মনোয়ার হোসেন জানান, বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারাদেশেই মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে , গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে চার সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ শনিবার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্ররকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়।