৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক
র্যাব-৭, চট্টগ্রামের অভিযানে ফেনী হতে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ জব্দ।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি পিকআপ যোগে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করে বিক্রির উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রাম এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ ০২৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি পিকআপের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা পিকআপটিকে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা গাড়ীসহ আসামী ১। মোঃ হেলাল উদ্দিন (২৪), পিতা- হাসন আলী, ২। মোঃ খায়রুল আমিন (১৮), পিতা- নূরুল আলম, উভয় সাং- হোয়াইকং মুলাপাড়া, থানা- টেকনাফ এবং ৩। মোঃ ভুট্টো (১৮), পিতা- জাহাঙ্গীর আলম, সাং- কলাতলী, থানা- কক্সবাজার সদর, সর্ব জেলা- কক্সবাজারদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের দেখানো ও সনাক্তমতে উক্ত পিকআপের পিছনে মালামাল বহন করার জায়গা হতে মোট ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়।
আটককৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজসে ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৯ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।