গার্দিওলা-জাভির গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ে জেতেননি কেউ
ভালোই মিল আছে দুজনের। নিজেদের দলকে তাঁরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে ভালোবাসেন। বল দখলে রেখে খেলার প্রতি ঝোঁক বেশি। ৪-৩-৩ ছকটা পছন্দ দুজনেরই। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেরাটা বের করতে পারেন।
খেলোয়াড়ি জীবনে দুজনের খেলার ধরনও ছিল প্রায় একই। পরে গুরু-শিষ্য হলেও ১৯৯৮ সাল থেকে বার্সার জার্সিতে খেলেছেন একসঙ্গে। বলা হচ্ছে, পেপ গার্দিওলা ও জাভি হার্নান্দেজের কথা। গার্দিওলা ও জাভি—এ দুটি নাম শুনলেই তো চোখের সামনে ভেসে ওঠে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বার্সায় সোনালি সময়ের ছবি। যে সময় গার্দিওলার কোচিংয়ে অন্য এক মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল বার্সা।
বার্সেলোনা সভাপতি লাপোর্তা ও পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি
সেসব দিন এখন অতীত। জাভি এখন বার্সার কোচ। গার্দিওলা ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্বে। কাল রাতে প্রীতি ম্যাচে প্রথমবারের মতো ডাগআউটে মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই গুরু-শিষ্য। বার্সার সাবেক গোলকিপার ও কোচ হুয়ান কার্লোস উনজুয়ে ২০২০ সালে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং এ রোগ নিয়ে গবেষণার জন্য তহবিল সংগ্রহে ক্যাম্প ন্যুতে ৯১ হাজার দর্শকের সামনে সিটি-বার্সা নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন গার্দিওলা ও জাভি। শেষ বাঁশি বাজার পর দেখা গেল, কেউই জিততে পারেননি। ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে।
২১ মিনিটে গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার জুলিয়ান আলভারেজ। কিন্তু প্রথমার্ধের আগে পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং ও বিরতির পর ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের গোলে বার্সাই এগিয়ে যায় ম্যাচে। ৭০ মিনিটে বার্সার ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার কোল পালমারের গোলে আবারও সমতায় (২-২) ফেরে সিটি। কিন্তু ৭৯ মিনিটে বার্সাকে আবারও এগিয়ে দেন মেম্ফিস ডিপাই—এবার দলবদলের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই ডাচ্ স্ট্রাইকারকে নতুন ক্লাব খুঁজতে বলেছে কাতালান ক্লাবটি।
তবে ম্যাচে তখনো নাটক শেষ হয়নি। যোগ করা সময়ের ৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় সিটি। বার্সার বক্সে পড়ে যান সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড। তবে সেটি পেনাল্টি ছিল কি না, তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। স্বয়ং হলান্ডের চোখ–মুখই বলে দিচ্ছিল, পেনাল্টি পাওয়ার আশা তিনি করেননি। স্পটকিক থেকে গোল করে ৩-৩ ব্যবধানে সিটিকে সমতায় ফেরান রিয়াদ মাহরেজ।
বার্সার ভক্তদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় লেভানডফস্কির ৬৭ লাখ টাকার ঘড়ি চুরি
বার্সেলোনা তারকা রবার্ট লেভানডফস্কি
১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বার্সায় গার্দিওলার সঙ্গে খেলেছেন কার্লোস উনজুয়ে। পরে ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বার্সার কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলেন, যখন ক্লাবটির কোচ ছিলেন গার্দিওলা। ২০০৯ সালে বার্সার ‘ত্রিমুকুট’ জয়ের সময়ও ছিলেন উনজুয়ে, তখন ক্লাবটির কোচ ছিলেন গার্দিওলা আর মাঝমাঠ সামলাতেন জাভি। ২০১৪ সালে আবারও বার্সার কোচিং স্টাফে ফিরে আসেন তিনি। তখন কোচ লুইস এনরিকে।
ম্যাচ শুরুর আগে উদ্বোধনী বক্তৃতার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন উনজুয়ে। মাঠে গিয়ে হুইলচেয়ারে বসেই বলে লাথি মেরে প্রীতি ম্যাচের আনুষ্ঠানিক শুরু করেন তিনি। এ ম্যাচে সিটি বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড়কে পরখ করে দেখেছে। কোল পালমার, রিকো লুইস, সের্হিও গোমেজদের খেলান গার্দিওলা।