Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /home/metvbdco/public_html/common/config.php on line 148
পদ্মাসেতুর পৌনে চার কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো

|| মাটি এন্টারটেইনমেন্ট

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বিভাগের পাঠকপ্রিয়

পদ্মাসেতুর পৌনে চার কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো

পদ্মাসেতুর পৌনে চার কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো

ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুর ২৪তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সেতুর তিন হাজার ৬০০ মিটার অর্থাৎ প্রায় পৌনে চার কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো।

মঙ্গলবার দুপুরে সেতুর ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের ওপর ‘৫-এফ’ নামে এ স্প্যানটি বসানো হয়। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি সেতুর ২৩তম স্প্যান বসানো হয়।

পদ্মাসেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, সকাল ৯টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে অস্থায়ীভাবে রাখা স্প্যান নিয়ে রওনা করে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। সাড়ে ১০টায় নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায়। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করেন।

পদ্মাসেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৫টি। বাকিগুলো মার্চের মধ্যেই আসবে। ২০২১ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই সব স্প্যান বসানো শেষ হবে বলেও জানান প্রকৌশলী হুমায়ুন।

এদিকে সেতুর স্প্যানের ওপর সড়কপথে নির্মাণের কাজ জাজিরা প্রান্ত থেকে দিনরাত চলছে। প্রায় তিন হাজার রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। এরমধ্যে প্রায় ৩০০ স্ল্যাব বসানো হয়েছে। স্ল্যাব বসানোর পর সেখানে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সেতু সূত্র।

সেতু নির্মাণকারী চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির এক প্রকৌশলী জানান, সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩৮টির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে ১০, ১১, ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের কাজ।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতুর পিলারে জটিলতায় প্রায় এক বছর কাজ পিছিয়ে যায়। এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সেতু চালু করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২০২১ সাল করা হয়। সেতু চালু হলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২৫ জেলার সরাসরি যোগাযোগ শুরু হবে।