Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /home/metvbdco/public_html/common/config.php on line 148
করোনায় আদা-লেবুর দ্বিগুণ দাম

|| মাটি এন্টারটেইনমেন্ট

প্রকাশিত: ২০:১১, ১৪ এপ্রিল ২০২০

বিভাগের পাঠকপ্রিয়

করোনায় আদা-লেবুর দ্বিগুণ দাম

করোনায় আদা-লেবুর দ্বিগুণ দাম

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে চলছে সাধারণ ছুটি। জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। আর এর মধ্যেই রাজধানীর বাজারে বেড়েছে আদা-রসুন-লেবুর দাম। যেন করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পণ্য তিনটির দাম।

কয়েকদিন আগেও ১৬০ টাকা কেজিতে আদা বিক্রি হয়েছে।  যা এখন দ্বিগুণ বেড়ে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়া রসুনের দামও প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা এবং লেবুর হালি প্রকারভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে। ক্রেতারা বলছেন ব্যবসায়ীরা করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে একপ্রকার জিম্মি করেই বেশি দাম নিচ্ছেন। দেশের এই সংকটকালে তারা সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে। আর বিক্রেতাদের দাবি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় আদা, রসুন ও লেবুর দাম বেড়েছে।

দাম বাড়ার প্রসঙ্গে রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নান্টু শিকদার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে পাইকারি বাজারে আদা ও রসুন পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন থাকার কারণেই এমন অবস্থা। তবে করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে বাজারে আদা ও রসুনের দাম স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, গত চার থেকে পাঁচদিন আগেও আদা বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। কিন্তু আজ পাইকারি বাজার থেকে সেই আদা কিনতে হয়েছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। তাই খুচরায় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ছিল। কিন্তু আজ তা বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

এদিকে রাজধানীর জিগাতলা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা হালির লেবু এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বাজারে লেবুর পরিমাণও কম।

জিগাতলা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইমাম হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই বাজারে লেবু পাওয়া যাচ্ছে না। যাও পাওয়া যাচ্ছে তার তুলনায় ক্রেতাদের চাহিদা অনেক বেশি।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ‌্য সরবরাহ করতে অসুবিধা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে পণ‌্য সময়মতো আসছে না। আবার সরবরাহও আগের তুলনায় অনেক কম। তাই লেবুর দাম পাইকারি বাজারেই অনেক বেড়েছে। তাতে আমাদের খুচরা বাজারে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।

ক্রেতা মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেশি।  হঠাৎ করেই আদা, রসুন ও লেবুর দাম একদম আকাশছোঁয়া। মাত্র চার পাঁচদিনের ব্যবধানে এই তিনটি পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে।  কী কারণে দাম এতো বেড়ে গেছে সেটাই বুঝতে পারছি না।  এ বিষয়ে তিনি সরকারের মনিটরিংয়ে জোর দেওয়ার কথা বলেন।

আদার বিষয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, দেশে বিভিন্ন স্থানে লকডাউন থাকার কারণে রাজধানীতে পণ‌্য আনতে সমস্যা হচ্ছে। যার কারণে আদা ও রসুনের সরবরাহ কম। আবার রাস্তায় পরিবহন না থাকার কারণে খুচরা বিক্রেতাদেরও পরিবহন খরচ বেশি হচ্ছে। সেজন্যই দাম বেশি।

এদিকে রাজিব হোসেন নামে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কর্মকর্তা জানান, গত তিন থেকে চার দিনে বাজারে আদার দাম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মতো বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।