|| মাটি এন্টারটেইনমেন্ট

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ৬ নভেম্বর ২০২২
আপডেট: ১৫:২৩, ৬ নভেম্বর ২০২২

বিভাগের পাঠকপ্রিয়

কক্সবাজারে অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা, মামলার আসামী গ্রেফতার

কক্সবাজারে অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা, মামলার আসামী গ্রেফতার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অটোরিকশা চালককে নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান দুই ঘাতককে হাটহাজারী হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

১।    “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২।     নিহত ভিকটিম রাসেল আজম বাহাদুর(৩০) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকার একজন সিএনজি চালক ছিলেন। গত ১৩ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে স্থানীয় বদরখালী কলেজপাড়া এলাকার যুবক মোঃ ইয়াছিন(২০) তার মাকে নিয়ে রাসেলের সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চড়ে বদরখালী বাজারে যান। ইয়াছিনের বাবা মোহাম্মদ ইসহাকের বদরখালী বাজারে খাবার হোটেল রয়েছে। বদরখালী বাজারে পৌঁছার পর অটোরিকশা চালক রাসেলের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে ইয়াছিন ও তার মা আছিয়ার ভাড়া নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ভাড়া মিটিয়ে দেবার পর ভিকটিম ইয়াছিনের বাবার হোটেলে গিয়ে খাবার খাওয়ার জন্য বসলে ভিকটিমের সাথে ইয়াছিনের পূর্বের বিষয় নিয়ে আবার তর্কাতর্কি শুরু হয় এবং তর্কের এক পর্যায়ে ইয়াছিন দোকান থেকে ছুরি নিয়ে রাসেলের বুকে আঘাত করেন। এ সময় ইয়াসিনের সহযোগী কাজল এবং অন্যান্য আসামিরাও ভিকটিমকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাসেলকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

৩।    এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় ০৪ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতমনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ২১, তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২২ খ্রি:, ধারা-১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩০৭/ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।

৪।    বর্ণিত মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। উল্লেখ্য যে, গত ১৬ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ৩নং আসামী মোঃ ইসহাক(৫০)’কে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয় এবং বাকী পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে, উক্ত হত্যা কান্ডের এজাহারনামীয় ১ ও ২নং আসামী ইয়াছিন ও কাজল চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন চিকনদন্ডী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৫ নভেম্বর ২০২২খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১৩০৫ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। ইয়াছিন আরাফাত (২২), পিতা-মোঃ ইছাহাক, সাং-নাপিতখালী পাড়া, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার এবং ২। মোঃ কাজল (২৪), পিতা-মোঃ ইছাহাক, সাং-নাপিতখালী পাড়া, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজারদ্বয়কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীরা অকপটে স্বীকার যে, তারা উল্লেখিত রাসেল আজম বাহাদুর(৩০)কে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১ ও ৩নং পলাতক আসামী।

৫।    গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।