|| মাটি এন্টারটেইনমেন্ট

প্রকাশিত: ১৪:০২, ৮ জানুয়ারি ২০২০
আপডেট: ০১:০২, ১২ জানুয়ারি ২০২০

বিভাগের পাঠকপ্রিয়

এক ঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন ঘাঁটিতে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

এক ঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন ঘাঁটিতে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ছবি : সংগৃহীত

ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁটি ‘এইন আল-আসাদের’ ওপর হামলার এক ঘণ্টা পর ফের আরেকটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধেই এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি’র খবরে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনও হামলার কথা নিশ্চিত করেছে।

বুধবার দেশটির তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরাকে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে দ্বিতীয় ধাপে হামলা শুরু করেছে ইরান। প্রথম হামলা চালানোর এক ঘণ্টা পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়েছে।

পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা হয়েছে। ইরান থেকেই মিসাইলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে।

এদিকে আইআরজিসির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ইরানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম পার্সটুডে জানায়, বুধবার ভোররাতে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে এইন আল-আসাদ নামে বিমানঘাঁটিটি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, কাসেম সোলাইমানির উপর আগ্রাসী মার্কিন সেনাদের সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক হামলার কঠোর জবাব দিতেই এ অভিযান। অভিযানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘শহীদ সোলাইমানি’।

গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানি নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ৬ জানুয়ারি সোমবার সকালে যখন জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ ইনকিলাব চত্বরে পৌঁছায় তখন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত এ জেনারেলের জানাজা নামাজের নেতৃত্ব দেন।

এরপর এ হত্যাকাণ্ডের ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেয়ার ঘোষণা দেন খামেনি। প্রতিশোধ নেয়ার পণ করেছেন ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক দল হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহও। অন্যদিকে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করা হলে ইরানের ওপর আরো হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে।